ইন্ডিয়ান সুপার লিগে খেলা নিয়ে দুই প্রধানের সঙ্গে আইএমজিআরের দূরত্ব কী কমছে? মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল নিজেদের অনড় অবস্থান থেকে কিছুটা সরে আসছে?
কর্তারা মুখে স্বীকার করছেন না বটে, তবে সোমবারের বৈঠকের আগে হঠাৎ-ই মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গলের পক্ষ থেকে শুক্রবার পাঠানো দু’টি চিঠি সেই গুঞ্জন কিছুটা হলেও উস্কে দিচ্ছে।
দুই প্রধানের এত দিন আইএসএলে খেলার ব্যাপারে দুটো শর্ত ছিল। এক) পনেরো কোটি টাকা ফ্রাঞ্চাইজি ফি দেওয়া হবে না। দুই) কলকাতায় খেলতে দিতে হবে।
এ দিন মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গল সচিব ফেডারেশনকে যে চিঠি পাঠিয়েছেন তাতে ক্লাবের দীর্ঘ ঐতিহ্য এবং সাফল্যের কথা লিখে চিঠিতে বলা হয়েছে, ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি মুকুব করা হলে নিলামে অংশ নেবে দুই প্রধান। যার অর্থ আইএসএল কর্তৃপক্ষ ফ্রাঞ্চাইজি ফি মুকুব করলে মাঠ নিয়ে আলোচনায় বসতে রাজি দুই প্রধানের কর্তারা। ইঙ্গিতে স্পষ্ট, ইস্টবেঙ্গলকে শিলিগুড়িতে এবং মোহনবাগানকে দুর্গাপুরে খেলার যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে সেটা মেনে নিলেও নিতে পারেন দুই প্রধানের কর্তারা। কারণ নিলামের দরপত্র পূরণ করে জমা দেওয়ার সময় সেখানে জানাতে হবে কোথা থেকে খেলতে চায় ক্লাবটি। কেন দুই প্রধানের এই অবস্থান বদল। ময়দানে গুঞ্জন, নির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি পেয়েই এটা করেছেন দুই প্রধানের কর্তারা। আবার অন্য কথাও শোনা যাচ্ছে। বলা হচ্ছে, এতে এক ঢিলে দুই পাখি মারতে চাইছে দুই ক্লাব। প্রথমত তাঁরা যে আইএসএল খেলতে চান সদস্য-সমর্থকদের কাছে সেই বার্তা আরও জোরালো ভাবে পাঠানো। দ্বিতীয়ত, আইএমজিআর যেমন হঠাৎ দরপত্রের নোটিস প্রকাশ করে দুই প্রধানকে আইনগতভাবে বেকায়দায় ফেলে দিয়েছে, তাঁর বিরুদ্ধে পাল্টা চাল দেওয়া। দুই প্রধানের দুই শীর্ষ কর্তা বললেন, ‘‘আমরা যে আইএসএলে খেলতে আগ্রহী সেটা বোঝানোর জন্য চিঠি দিয়েছি। পরে তো বলতে পারবে না আমরা ফ্র্যা়ঞ্চাইজি ফি মুকুবের কথা বলিনি। এ বার ওদের কোর্টে বল। দেখি ওরা কী চায়?’’ তবে আইএমজিআরের পক্ষ থেকে এ দিনও জানানো হয়েছে, ‘‘ফ্র্যাঞ্চাইজিদের জন্য নির্ধারিত ১৫ কোটি টাকা দিতে হবে নতুন তিন দলকেই।’’ এ দিকে, এ দিন ইস্টবেঙ্গলের ক্লাবে নির্বাচন সংক্রান্ত কর্মসমিতির বৈঠকে আইএসএলের সোমবারের আসন্ন বৈঠকের কথা জানানো হয়। মোহনবাগান আবার মঙ্গলবার কমর্সমিতির সভা ডেকেছে। সেখানেই জানানো হবে, ক্লাব কোন লিগে খেলবে।
No comments:
Post a Comment