ভুল সংশোধনের রাস্তা দেখালেন মনোরঞ্জন | আজকাল - Sports Gallery

Sports Gallery

খেলাধুলার সব খবর, একসাথে হাতের মুঠোয়

ভুল সংশোধনের রাস্তা দেখালেন মনোরঞ্জন | আজকাল

Share This

মৃদুল ব্যানার্জি চোট পেয়ে বাড়িতে বসে যাওয়ায় তাঁর পরিবর্তে সহকারী কোচ হিসেবে বৃহস্পতিবার থেকে কাজ শুরু করলেন রঞ্জন চৌধুরি। ইস্টবেঙ্গল অনুশীলনে অবশ্য শুধু রঞ্জনই নয়, অ্যাডভাইসার হিসেবে থাকা মনোরঞ্জন ভট্টাচার্যকে অনেক বেশি দায়িত্ব নিতে দেখা যাচ্ছে। বুধবার মনোরঞ্জন বলেছিলেন, ডিফেন্সের ত্রুটি সারাতে একটা ভিডিও সেশন করবেন ফুটবলারদের সঙ্গে। 

যেমন ভাবা, তেমন কাজ। অনুশীলন শেষে ক্লাবের কনফারেন্স রুমে গত চার ম্যাচের ভিডিও চালিয়ে বিভিন্ন ভুলগুলো নিয়ে পর্যালোচনা করেন তিনি। ডিফেন্ডারদের বোঝান, কী করলে গোল খাওয়া আটকানো সম্ভব। ফুটবলারদের মধ্যে কোথাও একটা সিরিয়াসনেসের অভাব ছিল। সেই গা–ছাড়া মনোভাব ঝেড়ে ফেলতে হবে। ফুটবলাররা কতটা উজ্জীবিত হলেন, পরের ম্যাচেই বোঝা যাবে। তবে এতদিনের দমবন্ধ করা পরিবেশ অনেকটাই কেটে গেছে লাল–হলুদ শিবিরে। জুনিয়র দলের এক কোচ এদিন মন্তব্য করলেন, অনেক দিন পর ফুটবলারদের হাসতে দেখলাম। কথাটা মিথ্যা বলেননি তিনি। একটা চনমনে ভাব ফিরেছে। দল করে খেলানোর সময় দেখা গেল, কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলছেন না। প্রতিটি বলের জন্য ঝাঁপাচ্ছেন, চোট লাগার তোয়াক্কা না করেই। এই খারুস মেজাজটাই দলে চাইছিলেন মনোরঞ্জন, ভাস্কররা। পরে রঞ্জন বলেন, ‘আমাদের সকলের উদ্দেশ্য এক। দলকে সাফল্যের রাস্তায় ফেরানো। মনা, ভাস্করদা, তুষার সকলেই এই ক্লাবে খেলেছে। অভিজ্ঞতা প্রচুর। আমিও এই ক্লাবে ছিলাম ফুটবলার ও সহকারী কোচ হিসেবে। এই দলের অনেককে চিনি। এটা সুবিধা। দলটা একটা খারাপ জায়গায় রয়েছে। ফুটবলাররা মানসিকভাবে কিছুটা পিছিয়ে। একাত্মবোধের অভাব লক্ষ্য করেছি। তাছাড়া মনাদার মতো আমিও মনে করছি, শেষ চার ম্যাচে খুব বাজে বাজে গোল খেয়েছে দল। মনাদা ভিডিও দেখিয়ে সেই জায়গাগুলো শোধরানোর উদ্যোগ নিয়েছে। ফুটবলারদের বলেছে, ৮৯ মিনিট পর্যন্ত গোল না খেলে, শেষ মিনিটেও গোল করে জেতা যায়। এখন আমাদের একটাই কাজ পরের ম্যাচে দলকে জয়ে ফিরিয়ে ফুটবলারদের মনোবল বাড়ানো।’ আই লিগের বাকি দুটো ম্যাচকে কি ফেডারেশন কাপের মহড়া হিসেবে নিচ্ছেন? রঞ্জনের মতে, ‘সে তো বটেই। এই দুটো ম্যাচে দলটাকে যতটা গুছিয়ে নেওয়া যায় ভাল। কারণ তারপর ফেডারেশন কাপের জন্য প্রস্তুতির তো আলাদা কোনও সময় মিলবে না।’ মর্গান একটা সিস্টেমে খেলিয়ে গেছেন। এখন নতুন কোনও সিস্টেমে খেলাতে গেলে সমস্যা হবে না তো? রঞ্জনের জবাব, ‘মর্গানের নিজস্ব একটা ধরন আছে। ফুটবলাররা সেটাতে অভ্যস্ত হতেই পারে। তবে সকলেই পেশাদার। দলের ভালর জন্য যেটা বেশি সুট করবে সেই সিস্টেমেই দলকে খেলাব আমরা, সকলে মিলে আলোচনা করে।’‌‌

No comments:

Post a Comment

Pages