পুলিসের জন্য বড় বিক্ষোভ হল না | আজকাল - Sports Gallery

Sports Gallery

খেলাধুলার সব খবর, একসাথে হাতের মুঠোয়

পুলিসের জন্য বড় বিক্ষোভ হল না | আজকাল

Share This

এক গোলে পিছিয়ে পড়ার পর থেকেই বারাসত স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে শুরু হয়েছিল মর্গান–বিরোধী শ্লোগান। ‘গো ব্যাক মর্গান’ চিৎকারের মাঝে বিরতিতে সাজঘরে ফিরতে হয় ইস্টবেঙ্গল কোচকে। ম্যাচের পরও তা–ই। তবে মাঠে সমর্থকদের তুলনায় পুলিস ছিল সংখ্যায় অনেক বেশি। তারা বিক্ষোভকে বড় আকার নিতে দেয়নি। তাই কোচ–ফুটবলারদের বড় ধরনের বিক্ষোভের আঁচ পোয়াতে হয়নি।
পর পর হারেও উৎসাহ নিয়ে ব্যান্ড নিয়ে মাঠে এসেছিলেন একদল সমর্থক। এদিন অবশ্য ১৪ বছর আই লিগ না পাওয়ার হতাশায় তাঁদের অনেকেই কাঁদলেন, গালিগালাজ করলেন কোচ–ফুটবলারদের নামে। এঁদের দুঃখ কি বুঝলেন দলের সদস্যরা? ম্যাচ হারের পর নইলে মর্গানের সাফাই দেওয়া চলবে কেন? গো ব্যাক শুনে তিনি মানসিকভাবে বিধ্বস্ত। তবু ভাঙব কিন্তু মচকাব না মনোভাবে ইস্টবেঙ্গল কোচ বলেন, ‘গত এক সপ্তাহ ধরে যা চলেছে, তাতে পরিস্থিতি ছিল বেশ ঘোরালো। এই অবস্থায় ম্যাচে আমার বা ফুটবলারদের পক্ষে মনঃসংযোগ করা রীতিমতো কঠিন ছিল। সাপোর্টাররা পয়সা দিয়ে খেলা দেখতে আসে। দল না জিতলে ক্ষোভ তো দেখাবেই। তা–ও ফুটবলাররা ভাল রেসপন্ড করেছে। ডি এস কে ম্যাচে গত ম্যাচের তুলনায় বেশি গোলের সুযোগ তৈরি করেছে। কিন্তু পুওর ফিনিশিং আর ডি এস কে গোলকিপার সুব্রত পালের দক্ষতার কাছে আটকে গেল। বিরতির পর খেলাটা আমাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। তবু গোল এল না সুযোগগুলো লাগানোর মতো জায়গায় পৌঁছতে না পারায়। তা ছাড়া ডিফেন্সের একটা সিলি মিসটেকে গোল হজম করায় ডুবতে হল।’ কিন্তু নিট ফল তো সেই শূন্য। হার। কোচ হিসেবে পর পর চার ম্যাচে হার কি আপনার জীবনে একটা কালো দাগ? মর্গানের জবাব, ‘হার সবসময়ই খারাপ। সেটা এক ম্যাচে হলেও। কোচ হিসেবে ব্যর্থতার দায় তো নিতেই হবে। তবে আবারও বলছি, কিছু সময় ধরেই ক্লাবে ভাল খেলার মতো পরিস্থিতি ছিল না।’ ওয়েডসনকে কেন শুরু থেকে খেলালেন না? মর্গানের বক্তব্য, ‘চোটের জন্য দীর্ঘ সময় মাঠের বাইরে ছিল ওয়েডসন। ডার্বির গুরুত্ব বুঝে ওকে ঝুঁকি নিয়েই ৯০ মিনিট খেলাতে বাধ্য হয়েছিলাম। কিন্তু ওর পক্ষে আবার পুরো সময় খেলা সম্ভব ছিল না। তাই ওকে পরের অর্ধে নামাই। ও নামার পর চাপ বেড়েছিল প্রতিপক্ষের ওপর।’ এদিন হঠাৎ ছক বদল কেন? মর্গানের মতে, ‘প্রতিপক্ষের ওপর চাপ বাড়াতেই ৩–৫–২ ছকের পথে হেঁটেছিলাম। লক্ষ্য ছিল মাঝমাঠে লোক বাড়িয়ে আক্রমণকে ধারালো ও ঝাঁজালো করা। সেটা শুরুতে ঠিকঠাক না হলেও দ্বিতীয়ার্ধে কাজে লেগেছিল। গোল না পাওয়াটা দুর্ভাগ্য।’ লিগ খেতাব তো হাতছাড়া হয়ে গেল। বাকি দু’‌ম্যাচে আর কি মোটিভেশন থাকবে? মর্গানের উত্তর, ‘যা ঘটেছে গত কয়েক দিনে, তাতে খেলার মতো মানসিক অবস্থা তো ডি এস কে ম্যাচেও ছিল না। ফুটবলাররা তো তার মধ্যেই ভাল খেলার চেষ্টা করল। বাকি দু’‌ম্যাচে জেতার চেষ্টাই করবে।’ আই লিগের বাকি ম্যাচগুলো কি ফেডারেশন কাপের প্রস্তুতি হিসেবে দেখবেন? মর্গানের ইঙ্গিতপূর্ণ জবাব, ‘ফেডারেশন কাপ এখন অনেক দূরে। তখন আমিই থাকব কি না জানি না। আপাতত শুধু সামনের দুটো ম্যাচ নিয়েই ভাবছি।’ সত্যি, এই হারের পর মর্গানের আই লিগের পর কোচ থাকা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে, যতই ৩১ মে পর্যন্ত ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি থাকুক না কেন। ফেডারেশন কাপে কোচের পদে নতুন কাউকে দেখা গেলে আশ্চর্যের কিছু নেই। বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যকে কোচের পদে ফেরানোর পাশাপাশি করিম, ওয়েস্টউডদের নামও ভাসছে ইস্টবেঙ্গল শিবিরে।‌

No comments:

Post a Comment

Pages